ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অবরুদ্ধ করার ঘটনায় যেসব শিক্ষার্থী উপাচার্যের কার্যালয়ের গেট ভেঙেছে তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো ছাত্রলীগ কর্মী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউ’র রাস্তায় বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা দিক দেখলেন? আরেকটা দিক দেখলেন না। এই যে আরেকটা সাইড-ভিসির অফিসের গেট ভেঙে ঢোকার কি কোনো নিয়ম আছে? এটা কি কোনো গণতান্ত্রিক পন্থা? এটা কি আন্দোলনের অংশ? ভিসি নিজেই বলেছেন, ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েরা যদি এসে উদ্ধার না করতো, তাহলে তার জীবনের ওপর হামলার আশঙ্কা থাকতো। এসময় তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, জোরপূর্বক ভিসি’র অফিসে ঢোকা হয়েছে, এটা কি গণতান্ত্রিক আন্দোলন? আর ছাত্রলীগের এখানে ইনভল্ভমেন্ট কেন সেটা ভিসি আমাকে বলেছে, আমাকে এভাবে অবরুদ্ধ করার পর এখানে ছাত্রলীগ এসেছে।
সঙ্গে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও এসেছে। ছাত্রলীগ যদি অপরাধী হয় তাহলে এর আগেও শাস্তি আমরা দিয়েছি। এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রলীগ কর্মী জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু যারা গেট ভেঙে ভিসির অফিসে ঢুকেছে তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত। জোর করে ভিসি অফিসে ঢুকবে এখানে সাধারণ ছাত্রদের কী কোনো দায়িত্ব নেই? তারা ছাত্রলীগ করে কিন্তু এর আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের স্পিকারের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্পিকারের সঙ্গে বসে সংসদে আলাপ-আলোচনা করবে- এটাও কি মিডিয়াকে জানতে হবে? সংসদের কার্যপ্রণালী নিয়ে কথা বলতে হয়, বলেছেন। কার্যবিধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্পিকারের সঙ্গে বসে কথা বলতেই পারেন। এটাকে আপনারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বসেছেন। এটা কী আপনারা হাওয়া থেকে বলছেন? এ ধরনের কিছু আমার জানা নেই। প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে নতুন নির্বাচন হবে- এটা স্বাভাবিক ঘটনা।