বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার রায়কে সামনে রেখে দলের নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতারের অভিযোগ করেছেন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত পাঁচ দিনে ঢাকাসহ সারাদেশে মূল দল ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্রাবণের ধারার মতো গ্রেফতারের ধারা বয়ে যাচ্ছে, তৈরি করা হচ্ছে ভীতিকর পরিবেশ।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে। গত ৩০ জানুয়ারি চ্যারিটেল ট্রাস্ট মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিএনপি নেত্রীর ফেরার পথে হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের সাথে দলের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে পুলিশ অভিযান শুরু করে।
রিজভীর অভিযোগ করেন, গতকাল লা মেরিডিয়ান হোটেলে দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠক চলাকালে ও সভা শেষে ৩৫ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে।
বিএনপি গণহারের গ্রেফতারের অভিযোগ করলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল দাবি করেছেন, সন্ত্রাসী ধরা হচ্ছে আর এতে পুলিশের প্রতি ভালোবাসা বাড়ছে।
এর জবাবে রিজভী বলেন, দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, ছাত্র, যুবক ও মহিলাসহ বিএনপি ও বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মীদেরকে ধরার জন্য চিরুনি অভিযান, আটক ও বাসায় বাসায় হামলার পরও ভালবাসা বাড়ছে? গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার কথা না হয় বাদই দিলাম। হায় সেলুকাস! সরকারের অঙ্গ সংগঠনের ভূমিকা পালন করেছে বলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশের প্রতি মানুষের ভালোবাসার কথা বলছেন।
স্বাধীন দেশে বিরোধী দলের ওপর পুলিশের উন্মত্ত হামলা মানুষকে সেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
৮ ফেব্রুয়ারি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, এখানে সরকারের প্রতিশোধ স্পৃহার প্রতিফলন ঘটে নাকি ন্যায়বিচার হয় সেটিই এখন অবলোকন করার বিষয়। ন্যায়বিচার হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে না।
সত্যনিষ্ঠ, দৃঢ়চেতা ও দেশের প্রতি সহমর্মী বেগম খালেদা জিয়াকে দেশ ও জনগণ থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না জানিয়ে রিজভী বলেন, সব অশুভ অভিপ্রায় ব্যর্থ হয়ে যাবে।